প্রেমে ব্যর্থ হয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর পিতার উপর হামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জুলাই ২০২৫, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
শহিদুল ইসলাম:
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর পিতার উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী জেরিন চৌধুরী’র পিতা জালাল উদ্দিন চৌধুরী মাসুম এর উপর অতর্কিত এ হামলা করেছে আন্দিউড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা তোফায়েল হোসেন চৌধুরী’র ছেলে ফারদান চৌধুরী। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের আন্দিউড়া গ্রামের চকবাজারে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। চকবাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। চকবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুর্বশত্রুতার জের ধরে এই হামলা সংগঠিত হয়েছে। ফারদান চৌধুরির সহযোগী সোলেমান মোল্লা এবং ওবায়দুল্লাহ মোল্লা এই হামলার সাথে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। জালাল উদ্দিন চৌধুরী এবং উনার স্ত্রী শাহানা চৌধুরি এবং স্থানীয় দের ভাষ্যমতে জেরিন চৌধুরী কলেজে থাকা অবস্থায় ফারদান চৌধুরী বিভিন্ন সময় জেরিন কে উত্যক্ত করত। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতার ছেলে ফারদান চৌধুরী জেরিন চৌধুরী কে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
কিন্তু জেরিনের পরিবার বিয়েতে রাজি হয়নি। বিয়ে না দেয়ায় কলেজে যাওয়া আসার পথে ফারদান জেরিনের গতিরোধ করত। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় ভাবে শালিসের মাধ্যমে ফারদান চৌধুরিকে জরিমানা করা হয় এবং মুচলেকা আদায় করা হয় যেন সে আর এ রকম না করে। পরবর্তীতে জেরিনের পরিবার তাকে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার যুক্তরাজ্য প্রবাসী সোহেল আহমেদের সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পরে জেরিন যুক্তরাজ্যে পাড়ি দেন।
বিগত বছর আগস্টে আওয়ামীলীগ এর পতনের পর ফারদান চৌধুরী বিভিন্ন সময় জালাল উদ্দিন চৌধুরীকে শাসিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে ফারদান পুরনো দিনের অপমানের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। বিগত বৃহস্পতিবার জালাল উদ্দিন চৌধুরী হবিগঞ্জ থেকে বাড়িতে ফেরার পথে স্থানীয় চকবাজারে ফারদান ও তার সহযোগীদের সাথে উনার আকস্মিক দেখা হয়। দেখা মাত্রই ফারদান ও তার সহযোগীরা জালাল উদ্দিন কে কটূক্তি করতে থাকে।
জেরিন দেশে ফিরলে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করবে বলে ফারদিন হুমকি দেয়। জালাল উদ্দিন চৌধুরি এর প্রতিবাদ করায় ফারদান উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং এক পর্যায়ে জালাল উদ্দিন চৌধুরী কে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। এতে উনি মাটিতে পড়ে যান এবং তার মাথা এবং হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী দের সহযোগিতায় জালাল উদ্দিন কে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এবিষয়ে মাধবপুর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নানা টালবাহানার আশ্রয় নিয়ে মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন জালাল উদ্দিনের পরিবার। জেরিন দেশে ফিরলে তাকে তুলে নিয়ে বিগত দিনের প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি সহ নানা ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিন চৌধুরী ও তাঁর পরিবার। এ বিষয়ে ফারদান চৌধুরী ও তার বাবা তোফায়েল চৌধুরী কে বার বার ফোন করলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।