দুদদের অনুসন্ধান বিষয়ে এম নাসের রহমান
‘একটি রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব করছে’
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুন ২০২৫, ৭:০০ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান পুত্র এম নাসের রহমানের বিরুদ্ধে ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন’ এর অভিযোগ এনে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এ বিষয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান গণমাধ্যমে প্রেসবিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করে একে আজগুবি ও বাস্তবতা বিবর্জিত অভিযোগ বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে এম নাসের রহমান জানান, একটি রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব করছে। তিনি এর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলেও জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এম নাসের রহমান জানান, ‘গতকাল আকস্মিকভাবে দুর্নীতি দমন কমিশন আমার বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে প্রেসব্রিফিং প্রদান করে। যা প্রায় সকল টিভি চ্যানেলগুলিতে প্রচার করা হয়। এই প্রেস ব্রিফিং আমাকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে। ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’ কেবল মাত্র ক্ষমতায় থাকলেই কারো পক্ষে অর্জন করতে পারা সম্ভব। বিএনপি গত প্রায় ১৯ বৎসর ক্ষমতার বাইরে। তাই কিভাবে আমি তথাকথিত ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’ করলাম তা বোধগম্য হচ্ছে না। তিনি একে আজগুবি ও বাস্তবতা বিবর্জিত অভিযোগ বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন।
এম নাসের রহমান প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, এই প্রেস ব্রিফিং যে উদ্দেশ্য প্রনোদিত তা স্পষ্টত প্রতীয়মান। কারণ কারো বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার আগে মিডিয়ার পাবলিক ট্রায়াল করা দুদকের কাজ হতে পারে না। আমি একজন সাবেক সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য। আমাকে কোন নোটিশ না পাঠিয়ে ও না জানিয়ে মিডিয়ায় আমার বিরুদ্ধে কথিত অনুসন্ধানের প্রচার করা সম্পূর্ণ অবৈধ ও স্পষ্টত মানহানীকর। আমি অবিলম্বে তাদের এই বাস্তবতা বিবর্জিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এই বিষয়ে আমি আমার আইনগত প্রতিকারের উদ্দেশ্যে আমার আইনজীবীদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিব।
এ ব্যাপারে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান পূর্বদিককে জানান, ‘একটি রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব করছে। যেই কর্মকর্তা ওই দলের সদস্য ছিল। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তারা এসব করছে। দুদকের সব অফিসার ট্রান্সফার হয়েছে কিন্তু সে এখনো ওই জায়গায় রয়ে গেছে। আমি আমার দলের চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক করবো। আমি মানহানির মামলাতেও যাবো। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, মাননাহির মামলাতে কারা যাবে? যার ভয় আছে সে তো আর মানহানির মামলাতে যাবে না। দুদক যে জিনিস নিয়ে নাড়াচাড়া করছে আওয়ামীলীগ সরকার নয় বছর আগে এসব তদন্ত করে কিছু পায় নাই। যদি কিছু থাকতো আওয়ামীলীগ সরকারই তো আমাকে ধরতো। এটা করে দুদক নিজেদেরকেই বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।’