মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন: নতুন নেতৃত্বে যারা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০২৫, ৭:৩৫ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হলো মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করেছে উৎসবমুখর পরিবেশ। রবিবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল, স্লোগান আর ব্যানারে মুখরিত হয়ে ওঠে সম্মেলনস্থল ও আশপাশের এলাকা। পুরো আয়োজন পরিণত হয় এক রাজনৈতিক উৎসবে।
সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শহরের এম সাইফুর রহমান স্টেডিয়ামে। এতে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক বদরুল আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা: এজেড এম জাহিদ হোসেন,প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক(সিলেট বিভাগ) আলহাজ্ব জিকে গউছ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আলহাজ আব্দুল মালিক,কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন মিলন,বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান,জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন। কাউন্সিল ও সম্মেলন অধিবেশনের সভা পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন। বক্তারা বলেন, “তৃণমূলের নেতৃত্ব গঠনের মাধ্যমে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে। এখন প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া।”
সম্মেলনের বিশেষ দিক ছিল গোপন ব্যালটে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন। পাঁচটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটের মাধ্যমে সদর উপজেলা বিএনপির নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক,সিনিয়র সহ সভাপতি, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তুমুল প্রতিদ্বন্ধীতা হয়। ছয়টি বুথে ১২ টি ইউনিয়নের ১৩ টি ইউনিটের মোট ভোটার ছিল ৯২৪ টি। এর মধ্যে কাস্ট হয় ৮৩৬ ভোট। ভোট কাস্টিং হয় ৯০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গোপন ব্যালটের মাধ্যেম দুপুর ১টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর থেকেই ভোটারদের লম্বা লাইন ছিল। প্রখর রৌদ্রময় গরমের হাঁসফাঁসের মাঝেও আনন্দ উল্লাসে তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা তাদের পছন্দের নেতা নির্বাচিত করেন। ব্যালটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের ক্ষমতা তৃণমূল ফিরিয়ে দেয়ায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। আর পুরো
নির্বাচন প্রক্রিয়া ছিল সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ।
নবনির্বাচিত সভাপতি মুজিবুর রহমান মজনু তাঁর বক্তব্যে বলেন, “এটি শুধু একটি পদ নয়, এটি বড় দায়িত্ব। আমরা সবাইকে নিয়ে সংগঠনকে নতুন উচ্চতায় নিতে চাই।”
এদিকে অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ ভুলে একই মঞ্চে নেতাদের অংশগ্রহণ সম্মেলনে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। অনেকেই এটিকে ‘ঐক্যের পুনর্জন্ম’ বলে আখ্যা দেন। নেতাকর্মীদের আন্তরিক কোলাকুলি, হাসিমুখে কথোপকথন এবং একসাথে কাজ করার ঘোষণা জানান দেয়—দল এখন ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত।
সম্মেলনে আগত নেতাকর্মীরা বলেন, এমন সম্মেলন বহুদিন পর দেখেছেন তারা। একে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কেউ কেউ এটিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন।
দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত সম্মেলন শুরু হয় দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। নেতারা ঘোষণা দেন—সংগঠনের এই নবজাগরণকে শক্তিতে রূপান্তর করে রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয় থাকবেন তাঁরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্মেলনের মাধ্যমে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি শুধু সাংগঠনিক কার্যক্রম নয়—বরং আগামীর রাজনীতির জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা।
নবনির্বাচিত সভাপতি মুজিবুর রহমান মজনু তাঁর বক্তব্যে বলেন, “এটি শুধু একটি পদ নয়, এটি বড় দায়িত্ব। আমরা সবাইকে নিয়ে সংগঠনকে নতুন উচ্চতায় নিতে চাই।”
এদিকে অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ ভুলে একই মঞ্চে নেতাদের অংশগ্রহণ সম্মেলনে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। অনেকেই এটিকে ‘ঐক্যের পুনর্জন্ম’ বলে আখ্যা দেন। নেতাকর্মীদের আন্তরিক কোলাকুলি, হাসিমুখে কথোপকথন এবং একসাথে কাজ করার ঘোষণা জানান দেয়—দল এখন ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত।
সম্মেলনে আগত নেতাকর্মীরা বলেন, এমন সম্মেলন বহুদিন পর দেখেছেন তারা। একে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কেউ কেউ এটিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন।
দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত সম্মেলন শুরু হয় দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। নেতারা ঘোষণা দেন—সংগঠনের এই নবজাগরণকে শক্তিতে রূপান্তর করে রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয় থাকবেন তাঁরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্মেলনের মাধ্যমে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি শুধু সাংগঠনিক কার্যক্রম নয়—বরং আগামীর রাজনীতির জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা।
এদিকে দীর্ঘ প্রায় ১৯ বছর পর মৌলভীবাজার সদর উপজেলা সম্মেলন ও কাউন্সিল – ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিল ও সম্মেলনকে ঘিরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে প্রধান কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো: আব্দুল মুকিত ও নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বকসি মিছবাউর রহমান।
তুমুল প্রতিদ্বন্ধীতাপূর্ণ এ নির্বাচনে
সভাপতি পদে ৪২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন মো: মুজিবুর রহমান মজনু। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মো: ফখরুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪১১ টি।
সিনিয়র সহ সভাপতি পদে ২২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো: সাদিকুর রহমান সাদিক। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন মো: ফখরুজ্জামান ২২৬ভোট, রুহেল বকস ১৯৫ ভোট,আব্দুল করিম ঈমানি ১৮১ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে ৫৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মারুফ আহমদ,তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মো: রানা খাঁন শাহীন পান ২৭৬ ভোট।
সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হন মো: শফিউর রহমান শফি তার প্রাপ্ত ভোট ৩৩১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী সেজুল আহমদ ২১৭ ভোট, মো: জিল্লুর রহমান ১৪৫ ভোট,মো: মুজিবুর রহমান ১৩৪ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৪০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন কাজল মাহমুদ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী তোফায়েল আহমদ পান ২২০ভোট,বদরুল ইসলাম ১২৪ ভোট,আব্দুর রহমান সোনাওর ৭১ ভোট পান।