মৌলভীবাজার বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলামের ফেইসবুক পোস্ট
‘এই নির্বাচনে আমি বড় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি’
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০২৫, ৯:০২ অপরাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক:
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম গত ২৩ জুন তার নিজ নামীয় ফেইসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেছেন। যা ইতোমধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সিভিল সোসাইটির প্রশংসা অর্জন করেছে। নেটিজেনরা তার এমন পোস্টকে প্রশংসনীয় বলে সাধুবাদ জানিয়েছেন। আসলে কি ছিল সে পোস্টে আর কেনই বা তিনি এমন পোস্ট দিলেন?
জানা যায়, গত ২২ জুন ছিল মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল ২০২৫। এই কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছিলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম। সভাপতি পদে মোট কাস্ট হওয়া ৮৩১ ভোটের মধ্যে ফখরুল ইসলামের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪১১। তার নিকটতম ও একমাত্র প্রতিদ্ব›দ্বী ৯ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হোন। এর পরদিন মো. ফখরুল ইসলাম তার নিজ ফেইসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেন। যেখানে তিনি কাউন্সিলে নির্বাচিতদের অভিনন্দন জানান। এছাড়া ভোটের মাঠে তাঁকে যারা ভোট দিয়েছেন, সহযোগিতা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন সকলের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার পোস্টের এক জায়গায় তিনি লিখেন ‘এই নির্বাচনে আমি বড় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।’
ফখরুল ইসলামের হুবহু ফেইসবুক পোস্ট “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আসসালামু আলাইকুম/আদাব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মৌলভীবাজার সদর উপজেলা শাখার ২২ জুন ২০২৫ইং সনের কাউন্সিলে নির্বাচিতদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি এই নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলাম। ৯ ভোট বেশি পেয়ে আমার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আমি তাঁকেও অভিনন্দন জানাই।
মৌলভীবাজার জেলা সদরের ১২টি ইউনিয়নের ১৩টি সাংগঠনিক কমিটির কাউন্সিলররা আমাকে ভোট দিয়েছেন। আমি মোট ৪১১টি ভোট পেয়েছি। তাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। এই নির্বাচনে আমি বড় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
যে সকল সিনিয়র, জুনিয়র নেতাকর্মী ও শুভাকাক্সক্ষী আমার জন্য নিরলস শ্রম দিয়েছেন ও খোঁজখবর নিয়েছেন তাদেরও শুকরিয়া জানাই। তাদের অবদান আমি কখনো ভুলবো না। আল্লাহ তাদেরকে নেক জাযা দান করুন আমীন। ২৩/০৬/২০২৫ইং।”
ফখরুল ইসলামের এই পোস্টের কমেন্টবক্সে তাকে অনেকেই অভিনন্দন জানান এবং তাঁর সুন্দর মানসিকতার প্রশংসা করেন। সৈয়দ আমিন নামের একজন লিখেন ‘প্রশংসনীয় মানসিকতা’। রাহেল মৌলভীবাজার লিখেন ‘নির্বাচনে হারজিত থাকে কিন্তু আপনার জন্য নেতাকর্মীদের যে অনুতপ্ত দেখলাম সেটা বোঝানো যাবে না।’ সুমন আহমদ নামের একজন কমেন্ট করেন ‘আল্লাহ আপনার সহায় হোন। ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের পর সারাদেশব্যাপি গ্রেফতার নির্যাতন শুরু করে। ফ্যাসিস্ট সরকারে আপনি গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন। আপনি এক বীর সৈনিক। আপানাকে আমি কারাগারে খুব কাছ থেকে দেখেছি আপনি ধৈর্য্যশীল ব্যক্তিত্ব। ইনশাআল্লাহ আপনি এগিয়ে যাবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।’ খালেদ চৌধুরী নামের একজন লিখেন ‘ মামা, তোমার এই সুন্দর লেখাটি মৌলভীবাজারের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশংসার দাবিদার। আমরা অনেকেই হারটাকে মেনে নিতে পারি না এবং বিজয়ীকে অভিনন্দন জানাই না। অবশ্যই তোমার এই বিনয় উদাহরণ হয়ে থাকবে। মহান আল্লাহ তোমাকে হেফাজত করুন, আমীন।’
এমডি হেলু মিয়া লিখেন ‘আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও দলের বৃহত্তর প্রয়োজনে আপনি সবসময় সার্বজনিন, আপনার অভিজ্ঞতার অতীব প্রয়োজন।’ জুয়েল আহমদ লিখেন ‘আলহামদুলিল্লাহ, সবকিছুর জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। ভাই আপনি বিএনপির তৃনমূলের পরীক্ষিত নেতা। আপনি বিএনপির হাজারো কর্মীর প্রাণের প্রিয় নেতা। আপনার সাথে এই হাজারো নেতাকর্মী আছে থাকবে ইনশাআল্লাহ।’