সুশীলতার মোড়কে দেশবিরোধী কথাবার্তা যারা প্রচার করছেন, তারা সার্বোভৌমত্বের বিপক্ষে: আখতার হোসেন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুলাই ২০২৫, ৪:০৫ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, এই বাংলাদেশের মানুষদের কে নানাবিধভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে সাংবাদিকতার নামে অপ-সাংবাদিকতা। সত্যের মোড়কে অসত্য তথ্য বাংলাদেশের মানুষদের সেন্টিমেন্টের বিপরীতে গিয়ে সুশীলতার মোড়কে বাংলাদেশ বিরোধী কথাবার্তা যারা প্রচার করছেন, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বোভৌমত্বের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এই বাংলাদেশের মানুষ তারা ২৪ এর অভ্যূত্থানে তারা জীবন দিতে গিয়ে আমাদের চোখ খুলে গেছে। তারা সুশীলতার মোড়কে বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নেয় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কথা বলে সম্প্রীতির বিরুদ্ধে কথা বলে বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয়ভাবাবেগের বিরুদ্ধে কথা বলে সম্প্রীতির বিরুদ্ধে কথা বলে তাদেরকে চিহ্নিত করতে আমাদের আর সময় লাগে না। অতএব এ বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে এদেশের সকল জনতাকে আমাদের এক হতে হবে। হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম খ্রীষ্টান এই বাংলাদেশ না না জাতিসত্তার মানুষ চাকমা বার্মা কোনো ধর্মের জাতিগত ভেদাভেদের মধ্যদিয়ে আমরা আর থাকতে চাই না।
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজারের বেরির পাড় পয়েন্টে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা শেষে পথসভায় এসব কথা বলেন আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, আমাদের এই লড়াই বাংলাদেশে ইনসাফ ভিত্তিক রাস্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই। বাংলাদেশের নানা প্রান্তের মানুষেরা নানা ভাবে তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়। এই মৌলভীবাজারের মানুষেরা যারা চা বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ করে তাদেরকে ন্যায্য মজুরি দেওয়া হয় না। আমাদের চা শ্রমিকেরা আমাদের রিকশা শ্রমিকেরা আমাদের ঠেলা মজুর কুলি তাদের সকলের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হবে। এমন এক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লড়াই। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই, এই বাংলাদেশে জবাবদিহিতার উর্ধ্বে প্রশ্নের উর্ধ্বে হবে। এমন এক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লড়াই। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই, এই বাংলাদেশে জবাব দিহিতার উর্ধ্বে প্রশ্নের উর্ধ্বে কোনও ব্যক্তি কোনো রাজনৈতিক নেতা কোনো সরকারি আমলা পুলিশ প্রশাসন আর্মি থেকে আর কাউকে আমরা জবাবদিহিতার উপরে রাখতে চাই না। এই বাংলাদেশে যারা রাস্ট্র পরিচালনা করবে যারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে তাদের সকলকে জনগণের কাছে পরিষ্কার থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যে নতুন বাংলাদেশের কথা বলি। এই বাংলাদেশে সরকারি সেবার যতো অফিস আছে, এ অফিস গুলোতে গেলে দালালদের খপ্পরে পড়তে হয়। টাকা পয়সা ঘুস নিয়ে সরকারি সেবা নিকে হয়৷ ২৪ এর অভ্যুত্থানের পরে ঘুস দিয়ে সরকারি সেবা পেতে হবে এই বাংলাদেশ আমরা আর দেখতে চাই না। আমরা উন্নয়নের বড় গল্প শুনেছি৷ কিছু রাস্তাঘাট করে হাজার হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এই পাচার নির্ভর অর্থনীতি, লুটেরা অর্থনীতি,উন্নয়নের মূলা ঝুলানোর অর্থনীতি আমরা আর বাংলাদেশে দেখতে চাই না। এই বাংলাদেশকে নিয়ে দেশী বিদেশি নানা গোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বোভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমি স্পষ্ট করে বলি, জুলাই অভ্যূত্থানে আমরা যারা রাজপথে ছিলাম আমাদের শরীরে শেষ বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বোভৌমত্ব নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র কে আমরা সহ্য করবো না।
সকালে থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে মৌলভীবাজার শহরের বেরিরপাড়ে জড়ো হতে থাকেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সেখান থেকে শুরু হয় দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা। কোর্ট রোড ও শাহ মোস্তফা সড়ক প্রদক্ষিণ করে তারা যোগদেন পথ সভায়। দুপুরে সেখানে একে একে বক্তব্য রাখেন নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী, আখতার হোসেন ও নাহিদ ইসলাম।
আরো বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশ, সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দীনা। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব,এহতেসামুল হক, মনিরা শারমিন, যুগ্ম আহবায়ক অর্পিতা শ্যামা দেব, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ডা: জাহেদুল ইসলাম, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ডা. জাহেদ, সংগঠক মারুফ আল হামিদ, জাকারিয়া ইমনসহ স্থানীয় জেলা এনসিপির সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী এহেসান জাকারিয়া, কবিরুল ইসলাম রুমন, তামিম আহমদ, সানাউল ইসলাম সুয়েজ, সাফওয়ান জাহান চৌধুরী, সৈয়দ মুফলে উস সালেকীন, আব্দুল্লাহ আল হোসাইন, আব্দুল বারী খোবায়েব, শামায়েল রহমান প্রমুখ।