`বামপন্থীরা চেয়েছিল ওয়ান সেটাপ কালচারাল ভ্যালুজ, মালেক চেয়েছিলেন কমন সেট অফ কালচারাল ভ্যালুজ’

কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাবিপ্রবি সভাপতি তারেক মনোয়ার বলেছেন, শহীদ আব্দুল মালেক চেয়েছিলেন কমন সেট অফ কালচারাল ভ্যালুজ। শিক্ষার সাথে আমাদের সকল কালচারকে একসাথে করতে। তারমানে আপনি গবেষণা করবেন পাশাপাশি রিলিজিয়াস পারস্পেক্টিভে আপনার ইসলামের নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ হতে হবে। যখন শহদ আব্দুল মালেক এই বক্তব্য গুলো উপস্থাপন করলেন, তখন বামপন্থীরা এই কথাগুলো সহ্য করতে পারেনি।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজার পৌরসভা হলরুমে ইসলামী শিক্ষাদিবস উপলক্ষে ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার শহর শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য তারেক মনোয়ার। মৌলভীবাজার শহর শাখার সেক্রেটারি কাজী দাইয়ান আহমদের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন শহর শাখার সভাপতি তারেক আজিজ।

তিনি বলেন, বামপন্থীরা চেয়েছিল ওয়ান সেটাপ কালচারাল ভ্যালুজ, এই জিনিসটি মূলত তৈরি করেছিল রাশিয়া, যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে যেসব বাম সংগঠন গুলো তৈরি হয়েছিল। তারা চেয়েছিল ওয়ান সেট অফ কালচারাল ভ্যালুজ স্টাবলিশ করার জন্য। তারপর মালেকের কমন সেট অফ কালচারাল ভ্যালুজের কথা আসার পর তাদের এই প্রকল্পটি ডিক্রিস হয়ে গিয়েছিল। তখন শহীদ আব্দুল মালেকের যুক্তি খন্ডনের সাথে বামপন্থীরা যখন টিকে নাই তখন ১২ই আগস্ট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আব্দুল মালেককে ইটের উপর মাথা রেখে থেঁতলে দিয়েছিল।

তারেক মনোয়ারা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় হুজুররা পড়াশোনা করান আল্লাহ সুদকে হারাম করেছেন ব্যবসাকে করেছেন হালাল। কিন্তু দেখেন মাদ্রাসার শিক্ষকরাই যারা এমপি ভুক্ত মাদ্রাসায় নিযুক্ত আছেন, তারা বেতন তুলে জনতা ব্যাংক থেকে। জনতা ব্যাংক কিন্তু সুদি ব্যাংক। তাহলে যেসব শিক্ষকরা পড়াচ্ছেন সুদ হারাম তারাই আবার সুদি ব্যাংক থেকে বেতন তুলতেছেন। কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের যে ব্যাংকিং সিস্টেম সেই ব্যাংকিং সিস্টেমের নীতিমালার আলোকে তাদের এখান থেকে বেতন তুলতে হয়। কিন্তু দেখেন আজ পর্যন্ত কোন মাদ্রাসার শিক্ষকরা সুদবিহীন ব্যাংকিং সিস্টেমের নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারেননি।