মৌলভীবাজারে হিজাব নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন
“কোনো শিক্ষিকার পক্ষেই হিজাবকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা গ্রহণযোগ্য নয়”
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ৭:২৭ অপরাহ্ণ

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে কয়েকশো শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে স্লোগান দেন “হিজাব আমাদের অধিকার, কটুক্তিকারীর বিচার চাই”, “ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত সহ্য করা হবে না”।
শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার মনি বলেন, হিজাব নারীর ব্যক্তিগত পছন্দ ও ইসলামী সংস্কৃতির অংশ। কোনো শিক্ষিকার পক্ষেই এটিকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এর নিন্দা জানাই এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
মৌলভীবাজার মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী তানিয়া মুসান্না বলেন, আমরা হিজাব পরি আমাদের বিশ্বাস ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য। শিক্ষক যদি আমাদের বিশ্বাস নিয়ে উপহাস করেন, তবে তা শুধু শিক্ষার্থীর মর্যাদাহানি নয়, বরং শিক্ষাঙ্গনের জন্যও লজ্জাজনক।

কলেজ শিক্ষার্থী তারিন আক্তার বলেন, শিক্ষকরা আমাদের অভিভাবকস্বরূপ। অথচ ভিকারুননিসার ওই শিক্ষিকা হিজাব নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। আমরা চাই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সৈয়দা তাহমিনা জান্নাত বলেন, হিজাব পরা শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, আমাদের সাংবিধানিক অধিকারও। কেউ যদি সেটাকে অসম্মান করে, তাহলে সেটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
অভিভাবকরাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, শিক্ষকদের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন করা। সেখানে ধর্মীয় পোশাক বা ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে উপহাস করা অত্যন্ত দুঃখজনক। এমন আচরণ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নেতিবাচক বার্তা দেয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা দাবি জানান হিজাব নিয়ে কটুক্তিকারী শিক্ষিকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পোশাক ও ধর্মীয় পরিচয়ে কোনো বৈষম্য বা বাধা দেয়া যাবে না।