চা শ্রমিক দিবসে বিভিন্ন বাগানে কর্মসূচি পালন
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ মে ২০২৫, ৪:১২ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক::
চা শ্রমিক দিবসে মৌলভী চা বাগান-সহ বিভিন্ন বাগানে কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ২০ মে ‘মুল্লুক চলো’ আন্দোলনের ১০৪তম বার্ষিকী। বাংলাদেশে চা শ্রমিকদের রক্তস্নাত এই দিনকে ‘চা শ্রমিক দিবস’ হিসেবে চা শ্রমিকরা পালন করে আসছে। ঐতিহাসিক চা শ্রমিক দিবসে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে সকাল ৯টায় মৌলভী চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান, চা শ্রমিক সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাপতিত্ব করেন মৌলভী চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি জ্ঞান উড়াং এবং সঞ্চালনা করেন চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কিরণ শুক্ল বৈদ্য। বক্তব্য রাখেন চা শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা শ্রমিক নেতা অ্যাডভোকেট আবুল হাসান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ, চা শ্রমিক দ্বীপচান, রনি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে চা শ্রমিকদের দৈনিক নগদ মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ, ভূমি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য অধিকারসহ মর্যাদাপূর্ণ জীবন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৭দফা দাবি আদায়ের সংগ্রামকে শক্তিশালী করার এবং আগামী ২৫ মে শ্রীমঙ্গলে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে চা শ্রমিক কনভেনশন সফল করার আহ্বান রাখেন নেতৃবৃন্দ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার, সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন বাগানে চা শ্রমিক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়।
এদিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের মুল্লুক চলো দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি পংকজ এ কন্দ। এসময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা, কোষাধ্যক্ষ পরেশ কালিন্দী, চা শ্রমিক নেতা শুভাস রবিদাশ, সুমন তাঁতী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯২১ সালের ২০ মে চা জনগোষ্ঠীর সদস্যরা সিলেট থেকে পায়ে হেটে চাঁদপুরের মেঘনা স্টিমার ঘাটে পৌঁছান। তারা জাহাজে চড়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে চাইলে ব্রিটিশ গোর্খা বাহিনীর সৈনিকরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করে মেঘনা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়। এই ঘটনার ১০৪ বছর পেড়িয়ে গেছে। এখনো চা শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হয় নি। সভা থেকে চা শ্রমিক নেতারা এই দিসবটিকে চা রাষ্টীয়ভাবে পালনের জন্য চা শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষনা করার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান।






