মৌলভীবাজারে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে দেশে মেগা দূর্নীতি ও ডিজিটাল চুরি হয়েছে: তাজিরুল ইসলাম
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ মে ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক::
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ তাজিরুল ইসলাম বলেছেন, বিগত ১৫-১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে মেগা দূর্নীতি ও ডিজিটাল চুরি হয়েছে। আয়নাঘরের নির্যাতন, গুম-খুনসহ হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে।ছত্রিশ জুলাই ২০০০ মানুষ হত্যার জন্য তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিকাল ৩টায়, জেলা শহরের চৌমুনায় একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে মৌলভীবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি আফসোস করে আরো বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম কেন? হালুয়া রুটি খাবার জন্য? এটাই কি আমাদের মাথায় ছিল? মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই অর্থনৈতিক বৈষম্য ছিল। বিগত ৫৪ বছরে বৈষম্যহীন সমাজ কি আমরা পেয়েছি। এখনো আমরা অনেক খারাপ অবস্থায় আছি।
মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল আরো বলেন, আমরা চাই দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়তে। একদল সৎ লোক তৈরি করতে। সৎ লোকের শাসন পরিচালনা করতে। বিগত সময়ে আমাদের দুজন মন্ত্রী ছিলেন। সবাইকে দুর্নীতিতে পাওয়া গেলেও উনাদের মন্ত্রণালয়ে কোন দুর্নীতি পাওয়া যায়নি।
শেখ মুজিবুর রহমানের সমালোচনা করে মোঃ তাজিরুল বলেন, পার্লামেন্টে দাড়িয়ে শেখ মুজিব ১০ মিনিটের মধ্যে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। এই স্বৈরশাসন করেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
উনার মেয়ে (হাসিনা) এসে ১৬ বছর শাসন করে দিনের ভোট রাতে দিলেন। গুম-খুন আর চাদাবাজি অর্থপাচারসহ দলকে নানা সুযোগ সুবিধা দিলেন। নিরিহ মানুষ হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অর্জনকে কলঙ্কিত করলেন।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মোঃ ইয়ামীর আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা জামায়াত আমীর প্রকৌশলী মোঃ শাহেদ আলী। উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, দুঃখ কষ্ট ও বঞ্চনার চিত্র সম্মেলনে তুলে ধরেন এবং তাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান।
সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মনোয়ার আহমদ চৌধুরী কে জেলা সভাপতি ও মো: ফারুক উদ্দিনকে জেলা সেক্রেটারি করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের ১৩ সদস্য বিশিষ্ট মৌলভীবাজার জেলা কমিটি গঠন করা হয়।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি নবনির্বাচিত জেলা কমিটিকে সম্মেলনে পরিচয় করিয়ে দেন।






