হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে থুথু ছিটিয়েছিলেন শেখ হাসিনা:: অ্যাটর্নি জেনারেল
প্রকাশিত হয়েছে : ১ জুলাই ২০২৫, ২:৫৬ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে হত্যার মহা ভিলেন ছিলেন কুলাঙ্গার জাস্টিস এবিএম খায়রুল হক। ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে দিনের ভোট রাতে কাস্ট করার কালচার চালু হয়েছিলো। এই সংশোধনের রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে। দেশে অবিচারের বিজ বপন করা হয়েছে। দেশে খুনের রাজনীতি চালু হয়েছে। আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দিবো- মানুষের এই অধিকারকে চিরতরে নির্বাসনে পাঠানোর প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বার ভবনের ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন আমরা বিচারের সমস্ত প্যারামিটার ধরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে জুলাই গণহত্যার বিচার করছি। আমরা এই বিচারকে কখনো কলঙ্কিত করে শহীদের আত্মার কাছে চির ঝণি হয়ে থাকতে চাই না। যে সমস্ত অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে, আপনারা যদি অপরাধের সাথে সম্প্রতি অপরাধিদের সম্প্রিক্তের কথা শুনলে গায়ের লুম শিউরে উঠবে। জুলাই বিপ্লবের সময় পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে যারা বেঁচে ছিলেন তাদের অনেকেই পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সেই পঙ্গু হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন তৎকালিন ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা। সেখানে সমস্ত মিডিয়ার প্রবেশ বন্ধ করে তিনি ভিতরে ডুকে আর্তনাদকৃত অসুস্থ পঙ্গু গুলিবৃদ্ধ মানুষের উপরে থুথু ছিটিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ডাক্তার ও নার্সদের বলা দেয়া হয়েছে এরা যেন চিকিৎসা না পায়। আমরা এমন একটি কালো অধ্যায় পার করে এসেছি।ওখানে যাদের সাথে এই আচরণ করা হয়েছে তারা সহ প্রত্যক্ষদর্শী ডাক্তার নার্সরাও স্বাক্ষী দিতে প্রস্তুত।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ খাদেম উল কায়েস, ব্যারিষ্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, নারী ও শিশু ট্রাইব্রুনালের জজ এনায়েত কবির সরকার, পুলিশ সুপার এম, কে, এইচ জাহাঙ্গির হোসেনসহ অন্যান্যরা।