মৌলভীবাজারে তিন বছরের ১৫ গুণীজনকে `শিল্পকলা সম্মাননা’ প্রদান
প্রকাশিত হয়েছে : ৪ অক্টোবর ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে এক অনন্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে একসাথে তিন বছরের ১৫ জন গুণীজনকে প্রদান করা হলো সম্মাননা।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জমকালো এই অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন অঙ্গনে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ এর প্রতিবছর অনন্য অবদানের জন্য পাঁচ ব্যক্তিকে সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ মহিউদ্দীন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানভীর হোসেন।
সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষণায় মোহাম্মদ আকবর, কণ্ঠসংগীতে সেলিম চৌধুরী, মোঃ তারেক ইকবাল চৌধুরী, নাদিরা আন্তার, নাট্যকলায় আবদাল মাহবুব কোরেশী, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ তাজুল ইসলাম, চারুকলায় ওয়ালিউর রহমান, যন্ত্রসংগীতে দুর্গা প্রসাদ দোশায়ারা, প্রসাদ দাস, লোকসংস্কৃতিতে সিরাজুল ইসলাম তোলা, মোঃ আব্দুস সহীদ, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে মোস্তফা সেলিম, মুজিবুর রহমান মুজিব এবং সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে ইন্দ্রজিৎ দেব।
বক্তারা বলেন, শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে যারা নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক চর্চায় অনুপ্রাণিত করবে।
অনুষ্ঠানে নাট্যদল মৃৎনাট্য পরিবেশন করে নাটক “তুমিই বাংলাদেশ”। নাটকটি রচনা করেছেন কাজী রোকসানা রুমা এবং নির্দেশনা দেন শাহীন ইকবাল। পাশাপাশি জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা পরিবেশন করেন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া সম্মাননা প্রাপ্ত কন্ঠশিল্পীরাও গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন শাহীন ইকবাল।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেন বলেন, মৌলভীবাজারের শিল্প-সংস্কৃতির শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। এখানে গান, নাটক, লোকসংস্কৃতি থেকে শুরু করে চারুকলা ও সাহিত্য প্রতিটি ক্ষেত্রে অসংখ্য গুণী মানুষের অবদান রয়েছে। আজ আমরা যাদের সম্মাননা দিচ্ছি, তারা শুধু ব্যক্তি নন; তারা মৌলভীবাজারের গর্ব। এই সম্মাননা মূলত তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো, যারা নিরলসভাবে কাজ করে আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, আগামী প্রজন্ম এ গুণীজনদের জীবন ও কর্ম থেকে অনুপ্রেরণা নেবে।
তিনি বলেন, শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা কেবল বিনোদনের জন্য নয়। এটি সমাজকে আলোকিত করে, মানুষকে মানবিক করে তোলে। জেলা প্রশাসন সবসময় এ ধরনের উদ্যোগের পাশে থাকবে এবং শিল্পীদের বিকাশে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।