logo
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • স্থানীয় সরকার
    • মৌলভীবাজার
    • সিলেট
  • সাহিত্য-সংস্কৃতি
  • পর্যটন
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • আরও
    • ইসলামী জিন্দেগী
    • পত্রিকা
    • মুক্তমত
    • শিক্ষাঙ্গন
    • সাফল্য
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • মৌলভীবাজার
  • সিলেট
  • প্রবাস
  • অর্থ ও বাণিজ্য
  • স্থানীয় সরকার
  • খেলাধুলা
  • ছড়া সমগ্র
  • পর্যটন
  • নারী ও শিশু
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • মুক্তমত
  • সম্পাদকীয়
  • ইসলামী জিন্দেগী
  • শিক্ষাঙ্গন
  • সাফল্য
  • সাহিত্য-সংস্কৃতি
  • স্বাস্থ্য-কথন
  • পত্রিকা
  • ফটোগ্যালারী
  1. প্রচ্ছদ
  2. ইসলামী জিন্দেগী

আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.): অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য


প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১১:২৭ অপরাহ্ণ

আহমদ হাসান চৌধুরী:: 

রঈসূল কুররা ওয়াল মুফাসসিরীন, উস্তাযুল মুহাদ্দিসীন হযরত আল্লামা মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী র. আমাদের দেশে এক সুপরিচিত ওলিআল্লাহর নাম। আল্লামা ফূলতলী রহ. 1913 সালে সিলেট বিভাগের জকিগঞ্জ উপজেলা ফুলতলী নামক গ্রামের প্রখ্যাত আলেম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি 2008 সালের 15 জানুয়ারি দিবাগত রাতে ইন্তেকাল করেন। দীর্ঘ প্রায় সত্তর বছর যাবৎ আঞ্জাম দেয়া দিনের বহুমুখী খিদমতই তার ব্যাপক পরিচিতির কারণ। আল্লামা ফুলতলী রহমতুল্লাহি এর জীবন আল্লাহর রাহে সর্বতোভাবে নিবেদিত ছিল। তাকে একটি নির্দিষ্ট পরিচয়ে সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব নয়। এটা কোন অতিশয়োক্তি নয়, বরং তার জীবন ও কর্ম এবং অবদানই এর বাস্তব প্রমাণ। তিনি ছিলেন তাসাউফের উচ্চস্তরে আসীন ‍একজন ওলী আল্লাহ। জৈনপুলী সিলসিলার প্রখ্যাত বুযুর্গ হিসেবে তার ব্যাপক পরিচিতি ও সুনাম ছিল। অন্যদিকে ইলমে কিরাতের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনন্য ও বিশ্ববিখ্যাত। ইলমে হাদীসের খিদমাতে তার রয়েছে পৌনে এক শতাব্দীর প্রোজ্জ্বল ইতিহাস। সমাজের অসহায়-দুস্থ মানুষের সেবায় তার রয়েছে নানাবিধ খিদমত। তিনি সারাটা জীবন মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান করেছেন বিভিন্নভাবে। তিনি ছিলেন সুললিত কন্ঠের অধিকারী দাঈ-ইলাল্লাহ, পাশাপাশি একজন সুলেখক ও সমাজ সংস্কারক।

হযরত আল্লামা ফুলতলী (র.)-এর জীবন ছিল বহু গুণের আধার। তাঁর মধ্যে এমন সব গুণের সমাহার ঘটেছিল যার কোনো একটিই মানুষকে আলোকিত করতে পারে। তিনি ছিলেন সুন্নাতে রাসূলের পরিপূর্ণ অনুসারী। তাঁর কথা, কাজ, চলাফেরা, আচার-ব্যবহার সব কিছুতেই ছিল সুন্নাতে নববীর যথাযথ অনুসরণ।

আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) ছিলেন লাখো মানুষের রূহানী অভিভাবক। কত মানুষ কত বিষয় নিয়েই না তাঁর খিদমতে হাজির হতো। তিনি সপ্তাহের ৫ দিনই বাইরে কাটাতেন দাওয়াতী কার্যক্রমে। বাড়িতে তাশরীফ রাখতেন দু’দিন-শনি ও রবিবার। তারপরও তিনি পরিবারের মানুষকে পর্যাপ্ত সময় দিতেন। তাদের প্রয়োজনের প্রতি খেয়াল রাখতেন। মমতার সুশীতল ছায়া দিয়ে রাখতেন তিনি তাঁর পরিবারকে।

দীন ইসলামের এক মর্দে মুজাহিদ ছিলেন হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)। দীনের ব্যাপারে তিনি ছিলেন আপসহীন। দীনের প্রতি কোনো আঘাত আসলে তিনি কখনো নীরব থাকতেন না। অমিত সাহস বুকে নিয়ে বজ্রকণ্ঠে এর প্রতিবাদ করতেন। যখনই দেশীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসলাম ও মুসলমানের উপর কোনো আঘাত আসতো, তিনি এর প্রতিবাদে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন। বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলে এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে দীনের স্বকীয়তা রক্ষার আন্দোলনে তিনি সিপাহ্সালারের ভূমিকা পালন করেছেন। এ ক্ষেত্রে বৃটিশ-ভারতের আসাম অঞ্চলে ইসলামী শিক্ষার স্বকীয়তা রক্ষার আন্দোলন, পাকিস্তান আমলে ফজলুর রহমান বিরোধী আন্দোলন, বাংলাদেশ আমলে তাসলিমা নাসরিন বিরোধী আন্দোলন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের নামকরণ বিরোধী আন্দোলন, আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

তিনি আলিম-উলামাকে সমাজের সর্বোচ্চ সম্মানিত মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতেন। মানুষ আলিমদের সম্মান করুক, এটা তিনি মনেপ্রাণে চাইতেন। সাধারণ মানুষকে শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর ছাত্র ও মুরীদগণকে এমনভাবে সমাজে উপস্থাপন করতেন, কেউ ধারণাও করতে পারতো না যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তাঁর ছাত্র বা মুরীদ। তিনি তাঁর ছাত্র-মুরীদগণকে এমন সম্মানজনক শব্দ প্রয়োগে আহবান জানাতেন যে তারা নিজেরাও লজ্জায় পড়ে যেতেন।

শুধু নিজের ছাত্র বা মুরীদদের নয় বরং অন্য ধারার কোনো আলিম বা ভিন্ন সিলসিলার কোনো বুযুর্গ এলে তিনি তাঁদের আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাতেন, ইয্যত সম্মান দান করতেন এবং তাঁদের যথাযথ খিদমতের ব্যবস্থা করতেন।

হযরত ছাহেব কিবলাহ (র.) ছিলেন প্রিয়নবী (সা.)-এর ভালোবাসায় সিক্ত কামিল মনীষী। প্রিয়নবী (সা.)-এর প্রতি তাঁর হৃদয়ের টান ছিল অত্যন্ত সুগভীর। তাঁর আলাপচারিতায়, ওয়াযে, দারসে, দু‘আয়, কান্নায় ও কবিতায় এর বহিপ্রকাশ ঘটত। তিনি ওয়াযে বেশির ভাগ সময়ই সায়্যিদুল মুরসালীন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শান-মর্যাদা, তাঁর মাধ্যমে জগৎবাসীর উপকৃত হওয়া, তাঁকে ভালোবাসার ইহ-পারলৌকিক ফায়দা ইত্যাদি বর্ণনা করতেন।

প্রিয়নবী (সা.)-এর প্রতি তাঁর অনুপম মহব্বতের উজ্জ্বল নিদর্শন হচ্ছে তাঁর রচিত অমর কাব্যগ্রন্থ না’লায়ে কলন্দর। না’লায়ে কলন্দরে রাসূলে পাক (সা.)-এর প্রতি তাঁর ভালোবাসার নমুনা আমরা পাই তাঁর নিম্নোক্ত কবিতায় :

নবীজীর পদধূলি হোক সুরমা এই দু’চোখে

মনের যতো কালিমা ঘুচুক জিয়ারত আলোকে।

নবী করীম (সা.)-এর সাথে সম্পর্কিত কিছু পেলেও তিনি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করতেন। বিশেষত সায়্যিদগণের সাথে তাঁর আচরণ ছিল নযীরবিহীন। এমনকি তাঁর নিজ আত্মীয়দের মধ্যে যাঁরা সায়্যিদ তাঁদের শিশু সন্তানদেরও তিনি আলাদাভাবে মর্যাদা দিতেন। তাঁদের ওসীলা নিয়ে দু‘আ করতেন।

মদীনার মাটি, ধূলো-বালিকেও তিনি সম্মানের চোখে দেখতেন। তাঁর কবিতায় এসেছে :

বিশ্বভুবন থেকে প্রিয় খাক মদীনার

সে খাক তরে ফিদা যেথায় পিয়ারা খোদার।

প্রিয়নবী (সা.)-এর ভালোবাসার প্রতিদানও তিনি ইহজগতে পেয়েছেন বহু ভাবে। স্বপ্নে প্রিয়নবী (সা.)-এর সাক্ষাৎ লাভে ধন্য হয়েছেন বহুবার। একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা : তিনি কারাবন্দী থাকাবস্থায় প্রিয়নবী (সা.)-এর জীবনী রচনার মনস্থ করেন। এ ব্যাপারে তিনি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন যে কী পদ্ধতিতে লেখা শুরু করবেন, ইতিহাসের না সীরাতের পদ্ধতি অবলম্বন করবেন। এসময় তিনি স্বপ্নযোগে প্রিয়নবী (সা.)-এর দর্শন লাভে ধন্য হলেন। নবীজী তাঁকে সীরাত পদ্ধতি অবলম্বনের নির্দেশ দিয়ে টেবিলে রাখা সাদা কাগজে একটি রেখা টানলেন। জেগে স্বপ্নে দর্শনমতো টেবিলে রাখা কাগজে দাগ দেয়া ও কলম খোলা অবস্থায় পেলেন তিনি (সুবহানাল্লাহ)। এ ঘটনা তিনি আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন। এর ইঙ্গিত তাঁর লিখিত সীরাত গ্রন্থ ‘মুনতাখাবুস সিয়র’-এর ভূমিকায় রয়েছে।

আল্লাহর পক্ষ থেকে তিনি বহুমাত্রিক বিশেষ দানে বিভূষিত ছিলেন। তাঁর উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা ও সাহস ছিল কিংবদন্তিতুল্য। মেহমান এলে তিনি নিজে তাদের মেহমানদারী করতেন। নিজের সন্তানদেরও তিনি মেহমানদারীর কাজে নিয়োজিত করতেন।

তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী ও নিরহংকারী। আবার সত্যের ব্যাপারে তিনি ছিলেন অবিচল ও আপসহীন। কোথাও কোনো অন্যায় পরিলক্ষিত হলে বা শরীআতের বিধান লঙ্ঘিত হলে তিনি অত্যন্ত কঠোর হতেন। এ সকল ক্ষেত্রে আপন-পর ছিল তাঁর কাছে সমান। অতি নিকটজনও তাঁর কাছে কোনো অন্যায় আবদার করার সাহস করতেন না। কোনো অন্যায় করে পার পাবার কথাতো কল্পনাও করতে পারতেন না। মোটকথা তাঁর জীবন ছিল “আল হুব্বু ফিল্লাহ ওয়াল বুগদু ফিল্লাহ”-এর বাস্তব নমুনা।

কুরআন কারীমের শুদ্ধ পঠন বিস্তারে তাঁর ভূমিকা বিশ্ববিশ্রুত। কিরাত শিক্ষার জন্য তাঁর ত্যাগ অপরিমেয়। দারুল কিরাতের সূচনালগ্নে তিনি একাই পাঠদান করতেন তাঁর বাড়িতে জমায়েত হওয়া শিক্ষার্থীদের। তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করতেন তিনি। এমনকি অনেক সময় নিজ হাতেও রান্না করেছেন তিনি।

মানুষের হিদায়াতের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। আজীবন মানবতার হিদায়াতের জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে। ওয়াযের মাধ্যমে, তরীকতের বায়আতের মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহর পথে পরিচালিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। মানুষের আত্মসংশোধনের বিষয়কে তিনি খুবই গুরুত্ব দিতেন। চূড়ান্ত অসুস্থতার সময়ও কেউ বায়আত হতে চাইলে, তরীকতের সবক শুনাতে চাইলে তিনি তাদের বিমুখ করতেন না।

জীবনের শেষ বয়স পর্যন্ত তরীকতের ওযাইফ আদায়ের ব্যাপারে তিনি খুব গুরুত্ব দিতেন। কুরআন তিলাওয়াত, দালাইলুল খায়রাত, হিযবুল বাহারসহ তরীকার কোনো ওযীফাই তিনি বাদ দিতেন না। সব সময়ই দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকে বলে তাঁর তিলাওয়াত বেশিরভাগই হত গাড়ির মধ্যে। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে গাড়িতে তিনি কখনও তন্দ্রাচ্ছন্ন বা ঘুমাতেন না। এ সময়টাতেই তিনি তাঁর ওযাইফগুলো আদায় করতেন।

হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) দীনী খিদমতে প্রাতিষ্ঠানিক কর্ম সম্পাদনে যেমন শীর্ষস্থানীয়, তেমনি সমাজসেবা তথা দেশ ও দশের খিদমতে তাঁর অবদান আদর্শস্থানীয়। তিনি নীরবে-নিভৃতে সারা জীবন খিদমতে খালক তথা সৃষ্টির সেবা করে গেছেন। তিনি প্রায়ই বলতেন :

তরীকত বজুয খিদমতে

খালকে নেসত

বসুজ্জাদা তাসবীহ ওয়া

দালকে নাসত।

তিনি মানব সেবাকে রাসূলে করীম (সা.)-এর সুন্নতের ধারা হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। অসহায় এতীম, মিসকীন, বিধবা, গৃহহীন, বস্ত্রহীন সবার দুঃখ-বেদনাকে আজীবন নিজের করে দেখেছেন। এতীমদের লালন পালন ও সুশিক্ষার জন্য তিনি গড়েছেন এতীমখানা। শত শত এতীমের অভিভাবকত্ব করে গেছেন ইন্তিকাল পর্যন্ত। বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠিত এতীমখানায় হাজারেরও অধিক এতীম প্রতিপালিত হচ্ছে। গরীব-অসহায়দের চিকিৎসার সুবিধার্থে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা ও পৃষ্ঠপোষকতা করে গেছেন বিনামূল্যে চিকিৎসা কেন্দ্র বা ডিসপেন্সারি। তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় চালু হয়েছে লঙ্গরখানা, বিধবা ও পঙ্গু পুনর্বাসন কেন্দ্র, গৃহ নির্মাণ, টিউবওয়েল স্থাপন, বৃক্ষরোপণসহ নানা প্রকল্প। তাঁর বড় ছাহেবজাদা হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী শুরু থেকেই এসবের তত্ত্বাবধান করছেন।

শিক্ষা বিস্তারে তাঁর অবদান সুবিদিত ও সর্বমহলে প্রশংসিত। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে, মহাদেশের গন্ডি পেরিয়ে তাঁর খিদমত ছড়িয়ে পড়েছে বৈশ্বিক ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন অসংখ্য মাদরাসা-মক্তব, পৃষ্ঠপোষকতা করে গেছেন শত শত মানব কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের। গরীব ও মেধাবী ছাত্রদের জন্য বৃত্তি প্রকল্প, নিজ খরচে শিক্ষা দান তথা বিনামূল্যে শিক্ষারও সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি।

সামাজিক শৃঙ্খলা ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় স্থানীয় বিচার-সালিসে ন্যায়বিচার পেতে লোকজন তাঁর দ্বারস্থ হতো। চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি, অন্যায়-অত্যাচার এগুলোর বিরুদ্ধে তাঁর জোরালো ভ‚মিকায় সামাজিক শান্তি, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তথা স্থানীয় হিন্দুরাও তাঁর ন্যায় বিচার, সামাজিক নিরাপত্তা ও সাহায্য-সহযোগিতায় উপকৃত হয়েছে।

তিনি গরীব ও অভাবী মানুষকে উদার হস্তে সাহায্য করতেন। বিপদের সময় তাঁদের পাশে দাঁড়াতেন। বিশেষ করে বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগে গরীবদের মাঝে চাল, ডাল, কাপড়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বিতরণ করে কিছুটা হলেও মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর চেষ্টা করতেন। মাদরাসা, মক্তব, মসজিদ, স্কুল প্রতিষ্ঠা ও রাস্তাঘাট নির্মাণ ইত্যাদিতেও জমি দান করে এলাকার উন্নয়নে তিনি সব সময় রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সময়ে সময়ে তাঁর সময়োপযোগী পদক্ষেপে বড় বড় সমস্যার সমাধান হয়েছে, সংকট বা সংঘাত থেকে রক্ষা পেয়েছে মানুষের জান-মাল। তিনি সব সময়ই জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর জীবন ও কর্ম আমাদের প্রেরণার উৎস।

লেখক: খতিব, সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদ ও সহকারি অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ইসলামী জিন্দেগী এর আরও খবর
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনের তাৎপর্য ll হাফিজ সাব্বির আহমদ

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনের তাৎপর্য ll হাফিজ সাব্বির আহমদ

সর্বজনীন রাসূল মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ll মো. সাইফুল ইসলাম

সর্বজনীন রাসূল মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ll মো. সাইফুল ইসলাম

হযরত মোহাম্মদ (সা.) প্রদর্শিত পথই নন্দিত ও স্বীকৃত ll সরওয়ার আহমদ

হযরত মোহাম্মদ (সা.) প্রদর্শিত পথই নন্দিত ও স্বীকৃত ll সরওয়ার আহমদ

নবীর মিলাদে খুশি হওয়া কুরআনিক নির্দেশ ll মাওলানা বদরুজ্জামান রিয়াদ

নবীর মিলাদে খুশি হওয়া কুরআনিক নির্দেশ ll মাওলানা বদরুজ্জামান রিয়াদ

আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ প্রাপ্তিতে শুকরিয়া আদায় করা জায়েজ

আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ প্রাপ্তিতে শুকরিয়া আদায় করা জায়েজ

ইসলামী সংগীত চর্চা করতে আমরা যেন মৌলিকত্ব হারিয়ে না ফেলি -মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী

ইসলামী সংগীত চর্চা করতে আমরা যেন মৌলিকত্ব হারিয়ে না ফেলি -মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী

সর্বশেষ সংবাদ
সাবেক অর্থমন্ত্রীর সহধর্মিণী বেগম দূররে সামাদ রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
সাবেক অর্থমন্ত্রীর সহধর্মিণী বেগম দূররে সামাদ রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
মৌলভীবাজার শহরের পশ্চিম বাজারে পৌর বিএনপি কার্যালয়ের উদ্বোধন
মৌলভীবাজার শহরের পশ্চিম বাজারে পৌর বিএনপি কার্যালয়ের উদ্বোধন
মৌলভীবাজারে ৭ দফা দাবিতে আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান
মৌলভীবাজারে ৭ দফা দাবিতে আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান
‘আপনার এসপি’ নামে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ সেবা চালু
‘আপনার এসপি’ নামে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ সেবা চালু
মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতায় আবু ওবায়দা মো. মাসরুর খানের রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতায় আবু ওবায়দা মো. মাসরুর খানের রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল
মৌলভীবাজারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কালবেলার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন 
মৌলভীবাজারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কালবেলার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন 
কমলগঞ্জে প্রয়াত বিএনপি নেতা খসরুর স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল
কমলগঞ্জে প্রয়াত বিএনপি নেতা খসরুর স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল
ভিডিও কলে নকল অস্ত্র দেখিয়ে ‘বাসায় বসেই ব্যবসা’, কুলাউড়ার মোক্তাদির র‍্যাবের জালে ধরা
ভিডিও কলে নকল অস্ত্র দেখিয়ে ‘বাসায় বসেই ব্যবসা’, কুলাউড়ার মোক্তাদির র‍্যাবের জালে ধরা
উন্নয়ন বঞ্চিত সিলেটের মানুষ ফুঁসে উঠার আগেই বিহিত ব্যবস্থা নিন: আলহাজ হাফিজ সাব্বির আহমদ
উন্নয়ন বঞ্চিত সিলেটের মানুষ ফুঁসে উঠার আগেই বিহিত ব্যবস্থা নিন: আলহাজ হাফিজ সাব্বির আহমদ
মৌলভীবাজারে সফলতার গল্প তুলে ধরলেন তরুণরা
মৌলভীবাজারে সফলতার গল্প তুলে ধরলেন তরুণরা
গুণী শিক্ষক সম্মাননা পেলেন মোছাম্মাৎ আমিনা বেগম
গুণী শিক্ষক সম্মাননা পেলেন মোছাম্মাৎ আমিনা বেগম
৫ দফা দাবিতে মৌলভীবাজারে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান
৫ দফা দাবিতে মৌলভীবাজারে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান
জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে মৌলভীবাজারে খেলাফত মজলিসের স্মারকলিপি প্রদান
জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে মৌলভীবাজারে খেলাফত মজলিসের স্মারকলিপি প্রদান
জননেতা মফিজ আলীর ১৭-তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
জননেতা মফিজ আলীর ১৭-তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় ও সমর্থন নিশ্চিত করল ডিনেট: ‘নাগরিক সমন্বয়’ প্রকল্পের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত 
সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় ও সমর্থন নিশ্চিত করল ডিনেট: ‘নাগরিক সমন্বয়’ প্রকল্পের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত 
ট্রেন উদ্ধার শেষে ফেরার পথে প্রাণ হারালেন রেল প্রকৌশলী
ট্রেন উদ্ধার শেষে ফেরার পথে প্রাণ হারালেন রেল প্রকৌশলী
আদর্শ নাগরিক গঠনে শিক্ষার্থীদের আল্লাহভীরু ও সৎ হওয়ার অনুপ্রেরণা: বশির আহমদ
আদর্শ নাগরিক গঠনে শিক্ষার্থীদের আল্লাহভীরু ও সৎ হওয়ার অনুপ্রেরণা: বশির আহমদ
শ্রীমঙ্গলে ছুরিকাঘাত করে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই, এক ছিনতাইকারীকে গণধোলাই
শ্রীমঙ্গলে ছুরিকাঘাত করে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই, এক ছিনতাইকারীকে গণধোলাই
দাখিলে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক শ্রীমঙ্গলের ডোবাগাঁও মাদরাসার আব্দুর রহিম
দাখিলে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক শ্রীমঙ্গলের ডোবাগাঁও মাদরাসার আব্দুর রহিম

© 2025 purbodeek.com

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: আলহাজ্ব মো: চন্দন মিয়া, সম্পাদক : মুজাহিদ আহমদ,
প্রকাশক : আলহাজ্ব হাফিজ সাব্বির আহমদ, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সভাপতি : মাও. কামরুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মুহাম্মদ আজির উদ্দিন পাশা, সহযোগী সম্পাদক : সালাহ উদ্দিন ইবনে শিহাব,
সহকারি সম্পাদক: আখতার হোসাইন জাহেদ, মো. রেদওয়ানুল ইসলাম

সম্পাদকীয় কার্যালয়: ২৭০, ওয়াছির প্লাজা, (দ্বিতীয় তলা), চৌমুহনা, এম সাইফুর রহমান রোড, মৌলভীবাজার-৩২০০।
মোবাইল: ০১৭১২৭১৬২৪৪, ০১৭১৯৮৪১৮৬৪, ০১৭০৬৬২৪৬৩২,
ই-মেইল: purbodik11@gmail.com

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh

Go to top