অপপ্রচারের অভিযোগ : ফ্রান্স প্রবাসীর প্রতিবাদ
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মে ২০২৫, ১:২১ অপরাহ্ণ

মৌলভীবাজারের বড়লেখা পশ্চিম দক্ষিণভাগ গ্রামের ফ্রান্সপ্রবাসী আমির আলীকে জড়িয়ে একটি গণমাধ্যমে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এতে করে তার ব্যক্তিগত সুনাম, সামাজিক অবস্থান এবং পারিবারিক সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেছেন। আমির আলীর দাবি, গণমাধ্যমে তাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমির আলী বড়লেখা উপজেলার ১০নং দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম দক্ষিণভাগ গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফ্রান্সে বৈধভাবে বসবাস করছেন এবং পারিবারিক টানে মাঝে মাঝে দেশে আসেন। দেশে এলেই একটি গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। ফ্রান্সপ্রবাসী আমির আলী বলেন, চলতি বছরের ১৪ মে সিলেটের একটি পত্রিকায় ‘দেশে ফিরেই অতীত অপকর্ম ধামাচাপায় তৎপর ফ্রান্স প্রবাসী আ.লীগ নেতা’ শিরোনামে আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। সেখানে দাবি করা হয়েছে, আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং আমি নিজ অর্থায়নে কাতার, পর্তুগাল ও ইংল্যান্ডে বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মীকে পুনর্বাসন করেছি। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নই এবং কখনোই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করিনি। এমনকি আমাকে নিয়ে বলা হয়েছে, আমি কাতারে গোপন বৈঠক করে দেশে ফিরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছি। এসব তথ্য সম্পূর্ণ কাল্পনিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর। তিনি আরও বলেন, আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নই, কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও জড়িত হইনি। কখনোই কোনো নেতার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির চেষ্টা করিনি। কখনও ব্যক্তিগত শত্রুতা বা প্রভাব খাটিয়ে কাউকে হয়রানি করার মতো হীনকর্ম করিনি। বরং আমি সবসময় সঠিক এবং জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যার পেছনে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল কাজ করছে। প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো জঘন্য অভিযোগও আনা হয়েছে, যা তিনি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া’ বলে উল্লেখ করে আমির আলী বলেন, এটি আমার চরিত্র হননের অপচেষ্টা। আমি দেশে ফিরে আসলেই কিছু মহল আমার অর্থ ও সম্পদ আত্মসাতের জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। আমি মনে করি, এই অপপ্রচার সেই ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।






